ব্রণ দূর করার উপায়
ব্রণের সমস্যায় ভুগতে দেখা যায় অনেনকে। এই সমস্যার ভুক্তভোগী ছেলে মেয়ে উভয়েই হতে পারে। ব্রণের কারোনে মুখ হতে পারে লাবণ্যহীন।তবে চিন্তা কোন কারন নেই,নিচে কিছু ঘরোয়া উপায়ে ব্রণ দূর করার টিপস রয়েছে যা প্রাকৃতিক ও ঘরোয়া মাধ্যমে – ব্রণ দূর করার উপায় ।
ব্রণ দূর করার ১২ টি উপায়ঃ
ব্রণ দূর করার উপায় গুলো হলো:
- ত্বকে তৈলাক্ত ভাব থাকলে ব্রণ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। আর শশার রস তৈলাক্ত ভাব দূর করতে অনেক সাহায্য করে। তাই বাইরে থেকে এসে চেষ্টা করবেন শশার রস দিয়ে মুখ পরিস্কার করতে। এতে ব্রণ হওয়ার সম্ভাবনা কম।
- কাঁচা হলুদ এবং চন্দন কাঠের গুঁড়ো এই দুটি ব্রণ দূর করার জন্য অনেক কার্যকরি উপাদান। সম-পরিমান বাটা কাঁচা হলুদ তার সাথে সম-পরিমান চন্দন কাঠের গুড়ো নিয়ে নিন।পরে তার সাথে পরিমান মত পানি নিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিন। মিশ্রণটি ব্রণ আক্রান্ত জায়গায় লাগিয়ে নিন। তার পর শুকিয়ে যাওয়ার পর ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে।
- আপেল এবং মধুর মিশ্রণ হচ্ছে ব্রণ দূর করার সবচেয়ে জনপ্রিয় ঘরোয়া পদ্ধতি। প্রথমে আপেলের পেষ্ট তৈরি করুন তার সাথে ৪/৫ ফোটা মধু নিয়ে নিন। মিশ্রণটি ভালো মত মিশিয়ে নিন। মিশ্রণটি ভালো মতো মুখে লাগিয়ে নিন। কিছুক্ষণ রাখুন তর পর ঠান্ডা পানি দিয়ে খুব ভালো মতো উঠায়ে ফেলুন।
- ব্রণের জন্য তুলসি পাতার রস খুব গুরুত্বপূর্ণ। তুলসি পাতায় রয়েছে আয়ুর্বেদিক গুন। শুধু তুলসি পাতার রস ব্যবহার করে ব্রণ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। তুসলি পাতার রস যেখানে ব্রণ রয়েছে সেখানে ব্যবহার করে শুকানো পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। শুকিয়ে গেলে হালকা কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে।
- চন্দ কাঠের গুঁড়োর সাথে গোলাপ জল মিশিয়ে একটি পেষ্ট তৈরি করুন। তবে আপনাকে আগে জানতে হবে আপনার মুখে গোলাপ জল সুট করে কিনা। গোলাপ জল সুট না করলে আপনি গোলাপ জল এর পরিবর্তে মধু ব্যবহার করতে পারেন। তার সাথে ৫/৬ ফোটা লেবুর রস ভালো মতো মিশিয়ে নিন।তার পর মুখটা ভালো মতো পরিস্কার করে ধুয়ে মিশ্রণটি ব্যবহার করুন। আপনি এই মিশ্রণটি সপ্তাহে ৪-৫ দিন ব্যবহরা করলে ভালো ফলাফল পাবেন।
- গোলাপজলের ব্যবহার জন্য কিন্তু আপনার ব্রণ এর দাগ কমে যায়।আপনি চাইলে গোলাপজল এর সাথে দারুচিনি গুঁড়া ব্যবহার করতে পারেন এতে করে ভালো ফলাফল পাওয়া যায়। গোলাপ জল আর দারুচিনির মিশ্রণটি আপনার মুখে ২০ মিনিট এর মতো রাখুন। এতে করে ভলো ফলাফল পাবেন।ব্রণ চুলকানি,ব্রণ,ব্যথা কমাতে সাহায্য করে।
- কমোলা লেবুর খোসা শুকিয়ে গুড় করে নিন।তার সাথে মুসরি ডাল আর চাল ভিজিয়ে পিসে নিন। তার সাখে চন্দ পাউডার মুলতানি মাটি একত্রে করে একটি পেষ্ট তৈরি করুন। তার পর মুখে ভালো করে লাগিয়ে নিন।
- এক কাপ পাকা পেপে চটকে নিন।তার সাথে এক টেবিল চামচ পাতিলেবু রস আর চালের গুড়ো নিয়ে নিন। মিশ্রণ টি ভালো মতো মিশিয়ে নিন। তার পর পুরো মুখপ লাগিয়ে নিন। ২০-২৫ মিনিট রাখার পর ভালো মতো ধুয়ে ফেলুন।
- পাঁচ ছয় টা নিম পাতা ভালো করে ধুয়ে পিসে নিন। এর মধ্যে এক চামচ মুলতানি মাটি নিয়ে নিন।তার সাথে অল্প পরিমান গোলাপ জল মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে নিন।মুখ ভালো মতো ধুয়ে প্যাকটি লাগিয়ে নিন। বেশ কিছু সময় রাখুন তারপর হালকা পানি দিয়ে খুব ভালো মতো ধুয়ে ফেলুন। প্যাকটি নিয়মিত ব্যবহার করতে পারবেন।
- বাইরে থেকে এসে সাথে সাথে আপনার মুখ পরিস্কার করে ফেলুন। এতে করে যেই ময়লা আপনার মুখে আটকায়ে থাকবে সেটা ধুয়ে পরিস্কার করে ফেলুন। ময়লা আটকিয়ে থাকলে মুখে ব্রণ হওয়ার সম্ভবনা থাকে।
- ডিমের সাদা অংশ ব্যবহার করতে পারেন। তার সাথে লেবুর রসও। এই প্যাকটি আপনি রাতে শোয়ার আগে ব্যবহার করতে পারেন। তা হলে ব্রণ সহ আপনার মুখের খসখসে ভাব দূর হবে।
- আমাদের অনেকের একটা বাজে অভ্যাস রয়েছে। সেটা হলো নখ দিয়ে ব্রণ খোটা। আমাদের নোখে থাকে ব্যাকটেরিয়া যেটা ব্রণ এর জন্য খুব ক্ষতি কর। ব্রণে হাতের নখ লাগলে ব্রণ লাল হয়ে যায় এবং সেখালে কালো দাপ হয়ে যায়। আর ব্রণ থাকা কালিন মুখে মেকাপ না করাই ভালো।
উপরোক্ত নিয়ম গুলো প্রাকৃতিক ও ঘরোয়া মাধ্যমে – ব্রণ দূর করার উপায় এ গুলো মেনে চললে ব্রণ থেকে নিমিষেই মুক্তি পেয়ে যাবেন । মুখে ব্রণ থাকলে মুখের সুন্দরর্য নষ্ট করে। তাই আমাদের সকলের সচেতন থাকতে হবে। আর বিশেষ করে মুখে ব্রণ হতে সেখানে হাত বা নখ লাগানো যাবে না। এইদিক একটু খেয়াল রাখবেন। হাতের নখ লাগলেই ব্রণ লাল হয়ে যাবে এবং সেই খানে কালো কালো দাগ পরে যাবে। নিয়মিত পানি পান করতে হবে। মুখ সব সময় ফ্রেশ রাখতে হরে।নিয়মিত প্যাক ব্যবহার করতে হবে। এমনি আরো কিছু জানতে ক্লিক করুন Home