নতুনদের জন্য মেক-আপ এর বেসিক কিছু জিনিস
সাজুগুজু কে না পছন্দ করে! প্রতিটা মেয়ে সাজুগুজু করতে খুব পছন্দ করে। তারা তাদের মনের মাধুর্য দিয়ে সাজতে খুব বেশি ভালোবাসে। কিন্তু তার আগে সকলের বেসিক কিছু জিনিস জানতে হবে। মেক-আপ করলেই কিন্তু হয়না! আবার সবাইকে মেক-আপ করলেও কিন্তু সুন্দর লাগে না। তার তো কিছু কারোন ও আছে। আমাদেট সেই সম্পর্কে জানতে হবে আগে। কিভাবে আমাদের মেক-আপ করলে সুন্দর লাগবে, মেক-আপ করার ও বেসিক কিছু জিনিস থাকে যা সম্পর্কে আমাদের ধারনা থাকতে হবে। চলুন যেনে নেওয়া যাক কি কি বেসিক জিনিস আছে মেক-আপ করার ক্ষেত্রে!
আমরা অনেকের মুখে শুনে থাকি মেক-আপ করার সময় কারো কারো মুখে ভালো মতো ফাউন্ডেশন বসে না, আবার কারো কারো তো নাকি কালো কালো লাগে,কন্সিলারের কালার কি ভাবে নিবাচন করবো।
এইসব সমস্যার মুখোমুখি পড়তে হয় তাদের ই যারা নতুন মেক-আপ করে থাকে।
আবার আমরা আমাদের ত্বকের ধরন অনেকেই জানিনা, মেক-আপ করার ক্ষেত্রে আমাদের ত্বকের ধরন সম্পর্কে ও জানতে হবে।
কোন ত্বকের জন্য কোন মেক-আপ করতে হবে, কোন ফাউন্ডেশন ব্যবহার করতে হবে, কোন ধরনের ব্লাস ব্যবহার করবেন, মেক-আপ করার পরে যেন না ঘামায় ইত্যাদি।
ফাউন্ডেশন দেওয়ার আগে করনীয়ঃ
শুরুতেই বলে নেই আমাদের এক এক জনের ত্বকের ধরন কিন্তু এক এক রকম, আবার ত্বকের কালার ও এক এক রকম তাই আমাদের আগেই জানতে হবে ত্বক সম্পর্কে। আর আমাদের অনেকের ফাউন্ডেশন শেড মিলানো একটু কষ্ট সাধ্য ব্যাপার বটে।আপনারা যে দোকান থেকে ফাউন্ডেশন কিনবেন ওইখান থেকেই টেষ্টার দিয়ে আপনার ত্বকে টেষ্ট করে নিবেন। হাতের নিচে যেই সাদা অংশে রোদ না পরে তার সাথে মিলিয়ে ফাউন্ডেশন কিনেনিবেন। তার পর ও যদি আপনার ফাউন্ডেশন বাছাই করতে কষ্ট কর হয়ে পরে তা হলে আপনি লাইট আর ডিপ কালার এর দুটি নিয়ে নিবেন, পরে দুটি এক সাথে মিশিয়ে ব্যবহার করবেন,। এতে করে আর কোন সমস্যায় পড়তে হবে না।
তৈলাক্ত ত্বকের জন্য ফাউন্ডেশন ব্যবহারঃ
এই ধরনের ত্বকে মেক-আপ করার পরে অনেক ঘামে এবং মেক-আপ করার পরে কালো দেখা যায়। এর জন্য যেইটা আমাদের প্রথমে করতে হবে তা হলো মুখ ভালো করে ধুয়ে স্রকাব করে নিতে হবে এবং ৩/৪ টুকরো বরফ পুরো মুখে লাগাতে হবে।তাহলে আমাদের মুখের লোম কুপ বন্ধ হয়ে যায়। তার পর মুখে অয়েল ফ্রি ক্রিম লাগাতে হবে।মুখের বেস অবশ্যই প্রাইমার দিয়ে শুরু করতে হবে,এতে মেক-আপ আর কালো হবে না, এবং অনেকখান মেক-আপ থাকবে।প্রাইমারব্যবহার করার পরে মেকআাপ করা শুরু করে দিন। তবে মনে রাখবেন তৈলাক্ত ত্বকে যখন আপনি মেকআপ করবেন তখন ৪/৫ বার পানির স্প্রে করতে হবে। তবে ফাউন্ডেশন অবশ্যই অয়েল ফ্রি হতে হবে।
নরমাল ত্বকঃ
যাদের ত্বক নরমাল তারা “টি” জোন মেক-আপ করলে ত্বক অনেক ঘামে।
যাদের এই সমস্যা থাকে তারা মেক-আপ করার আগে ৩/৪ টুকরো বরফ নিয়ে ভালো করে “টি” জোনে লাগাবেন।এবং মেক-আপের আগে প্রাইমার লাগাবেন। যাদের প্রাইমার নেই তারা অয়লি ফ্রি বি বি ক্রিম লাগাবেন।এতে আপনার ত্বকে প্রাইমারের কাজ করবে। আর খেয়াল রাখবেন নরমাল ত্বকেও অয়লি ফ্রি ফাউন্ডেশন লাগাবেন।
শুষ্ক ত্বকঃ
আমাদের যাদের শুষ্ক ত্বক তাদের মরা কোষ দেখা দেয়। এতে করে আমরা মেক-আপ করলে তা ভালো মতো বসতে চায় না। তাই আমাদের শুষ্ক ত্বকের জন্য আলাদা কিছু করতে হয়। শুষ্ক ত্বকে মেক-আপ করার আগে ভালো মতো স্ক্রাব করে নিতে হয়। যেকোনো ফলের তৈরি স্ক্রাব ব্যবহার করতে পারেন। স্ক্রাব করার ফলে আপনার মুখের যেসব মরা কোষ রয়েছে সেই সব বের হয়ে আসবে। আবার ব্ল্যাকহেডস চলে যাবে। তারপর ক্রিম যুক্ত যেকোন ফেস ওয়াস দিয়ে ভালো মতো মুখ ধুয়ে নিন। তার পর এক টুকরো বরফ নিয়ে টি জোন এ ঘসুন। তার পর টোনার ব্যবহার করুন। ভালো দেখে আপনার ত্বকে যেই ক্রিম টা সুট করে সেইটি ব্যবহার করুন।
শুষ্ক ত্বকের জন্য ফাউন্ডেশন এবং প্রাইমার বেস হতে হবে।